মানুষ খেকো ছিল আমাদের আদি পুরুষ নিয়ানডারথাল !
মানুষ খেকো ছিল আমাদের আদি পুরুষ নিয়ানডারথাল ! ! মানুষ খেকো নিয়ানডারথাল
মানুষের আদিপুরুষ নিয়ানডার থালদের নিয়ে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। বলা হয়, নিয়ানডারথাল স্বজাতি ভক্ষণ করত কিন্তু সেই মানুষগুলো যে মানুষখেকো ছিল, তা প্রমাণ করা বিজ্ঞানের জন্য বেশ কঠিন বিষয়। তবে সাধারণভাবে এর কারণ হিসাবে ক্ষুধা, খাবারের অভাব এর দুই দলের প্রচণ্ড দ্বন্দ্বকে কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়, নিয়ানডার থালরা একে অপরকে কেবল খাবার বানানোর জন্যেই হত্যা করত না।
আসলে তখন তারা বেশ কিছু প্রাণীর সঙ্গে নিজেদের তুলনা করে হতাশাজনক চিত্র দেখতো।
কোল এর আগে নিয়ানডারথালদের খুঁজে পাওয়া ৯টি ফসিলসংক্রান্ত গবেষণাপত্র তুলে ধরেন। ওই সব ফসিলে আদিপুরুষদের মানুষখেকো স্বভাবের প্রমাণ মেলে। ওই ফসিলগুলো ১৪ হাজার থেকে ৯ লাখ বছর আগেকার।
আধুনিক যুগের গড়পড়তা আকারের একটা মানুষ দেহে ১ লাখ ৪৪ হাজার ক্যালরি থাকতে পারে। পরে তিনি ওই ফসিলগুলোর বয়স বিবেচনা করেন। সেই সময় একজন শিকারী একটা ম্যামথ বা গণ্ডার বা ভালুক থেকে যত ক্যালরি পেত, তার চেয়ে বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। এগুলো শিকার করা সোজা কথা নয়। তাই নিজের জাতি শিকার করাতে সমস্যা কোথায়?
হয়তো সেই সময় সামান্য খাবারের জন্য মানুষকে অনেক সংগ্রাম করতে হতো। সে ক্ষেত্রে অন্য একটা মানুষকে হত্যা করা অনেক সহজ খাবারের সন্ধান দেয়। এ ছাড়া স্বজাতিকে খাওয়ার পেছনে বেশ কিছু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ও প্রভাবশালী হয়ে ওঠে। এ ছাড়া দলগত যুদ্ধ ও হিংস্রতার কারণেও এ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেতে পারে।
No comments